মুক্তদিবস উপলক্ষে আমলাসদরপুর আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে র্যালি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে বীর মুক্তযোদ্ধা লুৎফর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া জেলার প্রধান অ্যাকশন ক্যাম্প গঠিত হয় আমলায়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর যশোরের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কারণে সেখানে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীরা তাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ, ট্যাংক, রকেট লাঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে হানাদার বাহিনীরা সেখান থেকে ঝিনাইদহ দিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আবুরী-মাগুড়া এলাকা দিয়ে আমলা হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আসে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মারফত আলীর নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত হয় আমরা চারিদিক থেকে আমলা হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করবো। আমাদের এ আক্রমণের খবর টের পেয়ে যায় আমলা ক্যাম্পের হানাদার বাহিনীরা। পরে আমরা প্রায় ১৭টি ভাগে ভাগ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধারা। কমান্ডার আ স ম মুসা (চাঁদ), নুরুজ্জামান খাঁন, আফতাব উদ্দিন খাঁন, গেরিলা কমান্ডার আব্দুর রশিদ ফুরকান, আশকর আলী, রাহাত আলী, আফসার আলী, সাদেক আলীসহ আমরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পরে আজকের এই দিনে আমরা একযোগে চারিদিক থেকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। তবে এ খবর পেয়ে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত আমলার সাগরখালী ব্রিজটি ভেঙে দেয় এবং আমলা থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ায় চলে যায়। সেই সঙ্গে আমলায় মুক্তিযোদ্ধারা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। আমলায় উদীত হয় স্বাধীনতার সূর্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এসআরএস/এনটি