সেখানে একটি সড়ক নির্মিত হলেই মাত্র এক ঘণ্টায় রুমা উপজেলায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাহলে বান্দরবানের পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।
শিগগিরই ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে জেলার রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক। এতে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকেও পরিত্রাণ পাবে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পাহাড়-পর্বত এবং বৈচিত্র্যময় অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ রুমা উপজেলা। তাজিংডং, কেউক্রাডং, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২শ' ফুট উঁচুতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বগালেক এবং রিজুক ঝরনা এ উপজেলায় অবস্থিত। দুর্গম পাহাড়ি পথ আর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য রুমার সব জায়গায় যাতায়াত কষ্টসাধ্য। এতে পর্যটকদের যাতায়াত ও স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রুমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা বাংলানিউজকে জানান, রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মিত হলে বান্দরবানের উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এ সড়ক নির্মিত হলে পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা যাবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় অর্থনীতিতে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যটনের প্রসার ঘটবে। তাছাড়া প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে স্থানীয়দের কষ্টের সীমা থাকে না। এ দুর্ভোগও লাঘব হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে জানান, রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চলছে। গত ৮ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ৪৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ২০২২ সালের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রুমা উপজেলার আয়তন ৪৯২.১০ বর্গকিলোমিটার। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা ৩০ হাজার ২০৯। এ উপজেলায় মারমা, চাকমা, ত্রিপুরাসহ মোট ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এসআই