শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্টন হোসেন (৩২) নামে বড় ভাই মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ছোট ভাই কাউছার হোসেন (২৩)।
নিহত সহদোর উপজেলার পূর্ব কোদালিয়া দক্ষিণপাড়ার আন্তাজ আলীর ছেলে। আটক শিরিন সুলতানা একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম বকুলের (মামা) স্ত্রী ও খাসপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে কাউছারকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বকুল ও তার স্বজনেরা। সেখানে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামী শিরিনসহ স্বজনেরা লাঠিসোটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
খবর পেয়ে বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারপিট করে আহত করা হয়। এ ঘটনার পর দুই ভাই কাউছার ও মিল্টনকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা নেওয়ার পথে গভীর রাতে কাউছার মারা যান। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারী ইউপি সদস্যা শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
জিপি