শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মালিবাগ কাচাবাজার কুমিল্লা পট্টির একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় ফাঁস দেয় হৃদয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে।
বাংলানিউজকে হৃদয়ের মা নাজুফা বেগম জানান, মালিবাগের কুমিল্লা খাবার হোটেলে বয়ের কাজ করতেন এবং হোটেলের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে প্রায় রাতে হোটেলেই থাকতেন হৃদয়। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) হোটেলের দ্বিতীয় তলায় সিগারেটের অংশ পরে থাকতে দেখে হৃদয়কে সন্দেহ করে মারধর করেন হোটেলের এক মেসিয়ার। পরে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) হৃদয় আর কাজে যাননি।
শনিবার সকালে হৃদয়ের বাবা রিকশা নিয়ে বের হন। গৃহপরিচারিকার কাজ করতে বের হয়ে যান মা। দুপুরে হৃদয়ের বাবা বাসায় এসে দেখতে পান দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেখেন হৃদয় গলায় গামছা পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে আত্মহতার কারণ জানাতে পারেনি তার পরিবার।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এজেডএস /এসআরএস