শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘স্টপ সুইসাইড, মানুষ বাঁচুক ভালোবাসায়’ একটি কর্মসূচিতে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান।
‘নো সুইসাইড’র অন্যতম উদ্যোক্তা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহাদাত রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিম হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী আফিয়া সারিকার বোন সুমাইয়া সারিকা, গণমাধ্যমকর্মী ইফতেখার উদ্দীন প্রমুখ।
তানজীম উদ্দিন খান বলেন, এক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় নয় জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পদ্ধতির পড়াশোনা কাঠামোগত চাপ তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে। তাদের উচিত আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করা। যদি সেটি কার্যকরভাবে সম্ভব হয়, তাহলে এ ধরনের ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সেলিম হোসেন বলেন, আত্মহত্যা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এর পেছনে রাষ্ট্রের দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতি জড়িত। রাষ্ট্রে যখন বেকারত্বের হার বেড়ে যায়, অবিচার হয়- তখন এই প্রবণতা বাড়ে। আমরা যদি এর দায়িত্ব না নিই, আগামীতে এ হার আরও বাড়বে। যারা হতাশায় আছে তাদেরকে বোঝাতে হবে জীবন অনেক সুন্দর। একবার ব্যর্থ হওয়া মানে সব শেষ নয়। জীবনে অনেক সুযোগ আসবে।
ইফতেখার উদ্দীন বলেন, আমাদের আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারে আরও সতর্ক হতে হবে। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে চটকদারভাবে আত্মহত্যার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। আত্মহত্যার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হবে, এটা কোমলমতি শিশুদের মাঝে এক ধরনের উৎসাহ কাজ করছে।
কর্মসূচি শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/