ফলে বিভিন্ন জায়গায় মারামারির মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। এমতাবস্থায় বিশ্ব ইজতেমা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা উভয়পক্ষের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানালাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো জোড় ও বিশ্বইজতেমা হবে না। সারাদেশে জেলায় যে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় সেটাও বন্ধ থাকবে। আমরা নির্বাচনের পর উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করবো। কিন্তু আমরা কী দেখলাম ?
মন্ত্রী আরও বলেন- ইজতেমা ময়দানে একটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তিন জন তাবলীগের সাথী মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে থানা এবং কোর্ট মিলিয়ে ৩টি মামলা হয়েছে, এ মামলাগুলো তদন্তের পর যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মুসল্লীরা ইজতেমায় আসেন ইবাদতের জন্য ধর্মীয় কাজে। তারা মাঠের কাজের জন্য তাবলিগের মেহনতের জন্য আসে। তারা কিভাবে মারামারি করতে পারে এজন্য প্রশাসনের কেউ প্রস্তুত ছিল না। আমরা ভেবে ছিলাম তারা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে প্রস্তুতি সভা করবে। কিন্তু তারা তা না করে ভাঙচুর করে এবং এখানে যারা ছিলেন তাদের আহত করলেন। এটা সত্যিই দু:খজনক ঘটনা। দুই পক্ষ আবার বসে তাদের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তা ক্লিয়ার করবে এবং ইজতেমা আবার হবে এটা আমরা বিশ্বাস করি।
এসময় আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাবলীগ জামাতের মুরব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
আরএস/এসআইএস