দিবসটি উপলক্ষে রোববার (৯ ডিসেম্বর) কুমারখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কুমারখালী পৌরসভা, কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা কল্যান সমিতি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যৌথ উদ্যোগে কুমারখালী শহরে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে কুমারখালীর কুন্ডুপাড়ায় হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা।
পাকিস্থানি বাহিনী ও রাজাকাররা কুমারখালী শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও লুট শুরু করে। তাদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হন সামসুজ্জামান স্বপন, সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহাদত আলি, কাঞ্চন কুন্ডু, আবু বক্কার সিদ্দিক, আহমেদ আলি বিশ্বাস, আব্দুল গণি খাঁ, সামসুদ্দিন খাঁ, আব্দুল মজিদ ও আশুতোষ বিশ্বাস মঙ্গল।
এরপর ৯ ডিসেম্বর সকালে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরকে সংগঠিত করে শহরের চারপাশ ঘিরে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে (বর্তমানে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ চালায়। দীর্ঘসময় মুক্তিযোদ্ধা ও হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর পাকবাহিনী টিকতে না পেরে পালিয়ে কুষ্টিয়ার পথে রওনা হয়। পরে পাকবাহিনীর বহনকারী ট্রেন চড়াইকোল হাতিসাঁকো এলাকায় এলে বিস্ফোরক দিয়ে রেললাইন উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এরপর পাকবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। শহর হয় হানাদারমুক্ত। রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করে সর্বস্তরের জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেদিন থেকেই কুমারখালী হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয় ৯ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এসআরএস