রোববার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে হাসনা হেনার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
গত বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দেওয়ার মামলার আসামি হাসনা হেনা।
এর আগে বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে জামিন না দেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।
এদিকে শিক্ষককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনশনে যান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আশ্বাসে তারা অনশন ভাঙেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করা হয়।
গত সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে অরিত্রী অধিকারী (১৫) নামে ভিকারুননিসার এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেন। অরিত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (০২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিতী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দিলীপ অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অপমান করেছে এবং জানিয়ে অরিত্রী পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএস/জেডএস