দিবসটি পালনের জন্য নড়াইল জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে (১০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুর রহমান জিন্নাহসহ আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বাংলানিউজকে জানান, ৯ ডিসেম্বর নড়াইল শহরকে হানাদারমুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী ফজলুর রহমান জিন্নাহর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ চিত্রা নদীর পূর্ব দিক থেকে কাভারিং সাপোর্টে, অন্য গ্রুপ সদর থানা লিডার শরীফ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে বর্তমান নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমণ চালালো হয়।
এসময় মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা চারিদিক থেকে গুলিবর্ষণ শুরু করলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন পাক মিলিটারি নিহত হয় এবং অন্যদের আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে শহরে বিজয় উল্লাস করতে থাকে। জয় বাংলা স্লোগানে শহরের প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার দামাল ছেলেরা।
মুক্তিযুদ্ধে নড়াইলে খেতাব প্রাপ্ত পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা হলেন- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ, বীর উত্তম মুজিবুর রহমান, বীর বিক্রম আফজাল হোসেন, বীর প্রতীক খোরশেদ আলম, ও বীর প্রতীক মতিয়ার রহমান।
১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর ৮ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর মঞ্জুর নড়াইলে আসেন এবং মুক্তি পাগল হাজারও জনতার উপস্থিতিতে ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এখন নড়াইলবাসীর দাবি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হোক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো যেন সারা বছর ধরে সযত্নে আগলে রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
জিপি