ফুটপাত বা উন্মুক্ত ভ্যানে রাখা শীত পোশাকের দোকানগুলোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের দোকানিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরের রেলওয়ে মার্কেট, নিক্সন মার্কেট ও জব্বার মার্কেটের দোকানগুলোর চেয়ে ডাকবাংলো মোড়, সোনালী ব্যাংক চত্বর, ফেরিঘাট মোড় ও জেলা পরিষদের সামনের সড়কের ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। এসব দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা ইত্যাদি পোশাকে সয়লাব হয়ে গেছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি কম্বলও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে জম্পেশ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ভ্যানে করে প্রায় ২৫-৩০ জনকে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। কয়েকজন বিক্রেতা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ‘এ বাইছা বাইছা লন, তাড়াতাড়ি লন, ১০০-৩০০ টাকায় লন, ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সব আছে এখানে, তাড়াতাড়ি লন’ এমন স্লোগান হাঁকছেন। মহানগরের রেলওয়ে হাসপাতাল রোডের দরবেশ চেম্বারের দোকানিরা বলেন, শীতকাল চললেও শীতের পোশাক বিক্রয় খুবই সামান্য। মানুষ আসছে, ঘুরছে আর দেখছে, তবে কিনছে খুব কম।
এসব দোকানিরা জানান, বিলাসবহুল দোকানে বিক্রি কম হলেও ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন বিক্রি বেশি।
ফুটপাতের দোকানিরা বলেন, শীত আসার আগে মোটামুটি কম দামে ভালো পণ্য কেনার আশায় নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন এসব দোকানে আসছেন।
তারা জানান, পুরাতন সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেটের মূল্য ৬০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। আর মার্কেটে নতুন সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেটের মূল্য ৫০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত।
ডাকবাংলা মোড়ে ভ্যানে করে পুরাতন জ্যকেট বিক্রেতা মো. তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বেচাকেনা কিছুটা জমে উঠেছে। দাম কম শুনে অনেকে বেছে কিনছেন।
অপর এক বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, প্রতিদিন ১০-১৫টি জ্যাকেট বিক্রি করতে পারি। প্রতিটি জ্যাকেট ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি।
লিটন মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছর আমি শীতের পোশাক বিক্রি করি। এখন কম চলছে। আর ১০-১২ দিন পর শীত বেশি পড়বে। তখন অনেক পোশাক চলবে।
রাসেল নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, দাম কম আছে, তাই নিচ্ছি। শীত নিরারণ হলেই হলো। নতুন পুরানে কি আসে যায়।
মনিরা নামে এক ক্রেতা বলেন, শীতের শুরুতে পোশাক কিনতে এসেছি। কয়দিন পর শীতের তীব্রতা বাড়লে আগুন দাম হবে। তাই আগেই কিনতে এসেছি।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, জিনিস ভালো হলেও অন্যবারের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি।
বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় প্রতিটি পোশাকে তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। যে কারণে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/