ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন ৩০ মুক্তিযোদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন ৩০ মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ-ভারতের পতাকা

ঢাকা: বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভারত রওয়ানা হবেন তারা। চিকিৎসার সব ব্যয়ভার যৌথভাবে বহন করবে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। 

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অধীন দিল্লির রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৫ জন এবং পুনের কমান্ড হাসপাতালে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা নেবেন।

ভ্রমণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্লেন ভাড়া ও অন্য খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। আর চিকিৎসা সম্পর্কিত সব খরচ ভারত সরকার বহন করবে। ভ্রমণের সময় মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন।  

জানা যায়, একশজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে ভারত। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর নির্ধারিত হাসপাতালে দেওয়া হবে তাদের চিকিৎসা। অসচ্ছল একশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিশেষ এ সুবিধা দিচ্ছে ভারত সরকার। আর তাদের ভারত যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।  

‘মেডিকেল ট্রিটমেন্ট অব হানড্রেড মুক্তিযোদ্ধাস ইন ইন্ডিয়া’- পরিকল্পনার আওতায় ভারত সরকার প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করবে। এছাড়া ভারতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের খরচও বহন করবে দেশেটির সরকার।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ১৬৬১ জন ভারতীয় সেনাকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ বছরের বহুমুখী এন্ট্রি ভিসাসহ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।  

একই সঙ্গে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার ছেলেমেয়েকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। সব মিলে এই সুবিধা পাবে ২০ হাজার ছেলেমেয়ে।  

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ভারতে চিকিৎসার জন্য আগ্রহী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে বরগুনা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা ছাড়া বাকি সব জেলা থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে। প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে চার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এক কমিটি ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জমা দেন। তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে টিবি, মানসিক বিকারগ্রস্ততা ও অন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন রোগ এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই চিকিৎসাসুবিধা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।