কারা মহাপরিদর্শকের (আইজি প্রিজন) কার্যালয় থেকে বিদায় গ্রহণের দিন সোমবার (১০ ডিসেম্বর) এমন কথাই বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
কারা অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিদায় গ্রহণের সময় বিদায়ী আইজি প্রিজন বলেন, বিগত পাঁচ বছরে অনেক কাজ হয়েছে।
সকালে নয়া আইজি প্রিজন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। দুপুরের দিকে কারা অধিদপ্তরে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
নতুন আইজি প্রিজনকে শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি খুবই মেধাবী কর্মকর্তা। আশা করি অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কোনো আসামি দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে যখন বেরিয়ে যায়, তখন সে যেন আবার অপরাধে না জড়িয়ে যায়, সে ব্যাপারে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, আমরা দেখেছি কিছু আসামি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ থাকে না। হতাশায় ভুগতে থাকে। কারাগার থেকে কোনো আসামি বের হলে সর্বপ্রথম সমাজ ও তার পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। সে যেন পরবর্তী সময়ে আর কোনো অপকর্মে না জড়িয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিকভাবে এ ধরনের ম্যাকানিজম গড়ে উঠলেও আমাদের দেশে এখনো তা হয়ে ওঠেনি।
বিদায়ী আইজি প্রিজন বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর জন্য সবার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। কারও একার পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়, এর সঙ্গে স্টেকহোল্ডারের বিষয়টিও কাজ করে। তবে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ করলে মাদকের থাবা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/