জানা যায়, হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইটের আওতায় ২৫ মার্চ রাতে যশোর থেকে পাকবাহিনী এসে কুষ্টিয়া দখল করে নেয় এবং ৩০ ঘণ্টার জন্য সান্ধ্য আইন জারি করে সশস্ত্র অবস্থায় টহল দিতে থাকে কুষ্টিয়া শহরে। সান্ধ্য আইন ভেঙে মুক্তিকামী মানুষ বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বংশীতলাযুদ্ধসহ ২২টি যুদ্ধ শেষে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী কুষ্টিয়া দখল নিতে আসছিল। ঠিক তখন ১০ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণে চৌড়হাস বিমান চত্বরের মেইন রাস্তার ওপর পাকবাহিনীর অ্যাম্বুশে পড়ে তারা। শুরু হয় ত্রিমুখি যুদ্ধ। শহীদ হন মিত্রবাহিনীর ৭০ জন।
যুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর খোকসা, ৭ ডিসেম্বর মিরপুরের আমলাসদরপুর, ৮ ডিসেম্বর দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা, ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী ও ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া স্বাধীন ও শক্রু মুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়ার কবি, ছাত্র, সাহিত্যিক, শিল্পী, লেখকের ভূমিকাও ছিল উলেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এসআরএস