হলুদ সরিষা ফুলের অবারিত সৌন্দর্য এখন লুটোপুটি খাচ্ছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাঠে মাঠে। শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষিরা সরিষা ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে জানান, এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফসলের মাঠগুলোতে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।
মাঠের পর মাঠজুড়ে বিরাজ করছে থোকা থোকা হলুদ ফুলের দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সরিষার ফুল আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ প্রকৃতিপ্রেমীদের। কয়েক দিন পরই সরিষা উঠবে তাদের ঘরে। তারা আরও জানান, সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় আবাদে মনোযোগ দিয়েছে এলাকার কৃষকরা। এছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা ভাল ফলন পাওয়ার আশা করছেন।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ কালিকাপুরের সরিষা চাষি অনুপম রায় বাংলানিউজকে বলেন, দুই বিঘা জমিতে তিন ধরনের সরিষার আবাদ করেছি। মাঠে বেশ ফুল ফুটেছে। আসা করছি ফলন ভাল হবে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসেন।
তিনি জানান, আগাম জাতের সরিষা এক সপ্তাহের মধ্যে ঘরে তোলা হবে।
সেনপাড়ার সরিষা চাষি নুরুল ইসলাম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, মাঠের পর মাঠের সরিষার ফুল আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ প্রকৃতিপ্রেমীদের। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেত। অনেক ক্ষেতে মৌ চাষিরা মৌচাক বসিয়েছেন।
তিনি জানান, আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ডুমুরিয়া ছাড়াও জেলার বটিয়াঘাটা, ফুলতলা, পাইকগাছা, রূপসা, দাকোপসহ ৯ উপজেলায় বেশ কিছু জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এই জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে সরিষা তুলে ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন চাষিরা।
তিনি জানান, এবছর খুলনা জেলায় ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলার মাঠের পর মাঠজুড়ে এখন সরিষা ক্ষেত।
আব্দুল লতিফ বলেন, উন্নত জাতের বীজ, সারের সরবরাহ এবং সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে ছিলো। যে কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এমআরএম/এএটি