প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে।
ওইদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত-বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে সকাল ৮-৪০টায় মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লসগাইডের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এবং শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
ওইদিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সিনেমা হলসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিভাগীয় জাদুঘরে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিনা টিকিটে উম্মুক্ত রাখা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে।
দুপুর ২টা বা সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশুসদন ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হবে।
জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ যোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
বিকেল তিনটায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে নারীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা এবং বিকেল সাড়ে তিনটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুবিধাজনক তারিখ ও সময়ে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের ভলিবল বা হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।
সন্ধ্যা ছয়টায় শহীদ হাদিস পার্কে ‘সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা, সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য, সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ ঘাটে স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ এবং রেল সজ্জিতকরণ করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, বয়রা শিশু পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক বিনাটিকিটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। ১৭ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে খুলনা সিটি করপোরেশন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানাবে।
১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। ১৬, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর ১০টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শন করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি, ১৫ ডিসেম্বর শিশু একাডেমির আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সংগীত প্রতিযোগিতা এবং ১৩ ডিসেম্বর জেলা দুপুর ২টায় প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের বীরত্ব ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬-১৮ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা বিসিক'র উদ্যোগে বিসিক ভবন প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এমআরএম/এএটি