বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা জেলা পুলিশ অডিটোরিয়ামে আমন্ত্রিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের মাঝে দেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
জেলা পুলিশ ও পাঠশালার ব্যতিক্রমী এ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে জাতীয় চেতনাবোধ দেশপ্রেম ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উসৎসবের পৃষ্ঠপোষক রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, পাবনা জেলা পুলিশের পদন্নিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান সিনি বিশ্বাস, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সাংবাদিক উৎপল মির্জা, পাঠশালার সভাপতি স্বাধীন মজুমদার প্রমুখ।
অতিথিরা বলেন, এ জাতীয় পতাকা অর্জন করিছি আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। শুধু পতাকা টানালে হবে না, এর যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত আমাদের এই মানচিত্র এবং লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। তাই প্রত্যেকটা দিবসে সবাকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পতাকা উৎসবের শুরু হয়। এক হাজার পতাকা আর পতাকা উত্তোলনের লাঠি সরবরাহ করেন আয়োজকরা। এই ব্যতিক্রমী আয়োজন দেশের প্রত্যেক প্রান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা।
পরে শহরের প্রত্যেকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর বসত বাড়িতে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করেন পাঠশালার কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
জিপি