বিজয় দিবসে এলিজা নীলফামারীর সৈয়দপুরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বেরিয়ে পড়েন ঐতিহ্য খোঁজে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার সহকারী অধ্যাপক এলিজা বিনতে এলাহীর শখ হচ্ছে ভ্রমণ। তবে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অনুসন্ধান করেন তিনি। এ নিয়ে কাজও করছেন।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নীলফামালীর সৈয়দপুর শহরের প্রাচীনতম চিনি মসজিদ এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী এলিজা প্রচুর লেখালেখি করেন। এরই মধ্যে তার ভ্রমণ সম্পর্কে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যার নাম ‘এলিজাস ট্রাভেল ডায়েরি ও এলিজার্স ট্রাভেল ডে। ’
এলিজা বাংলানিউজকে বলেন, দেশ দেখা মানে হচ্ছে মানুষের পরিচয় জানা। তার ভাষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি এসব জানা। ওই উপজীব্য নিয়ে মানুষের বৈচিত্র খুঁজে পাই। আর ভ্রমণ মানে হচ্ছে বিশ্বের একেক নগরকে খতিয়ে দেখা। যা প্রতিবার নতুন প্রেমের মতো। প্রেমের আবেগ আকৃষ্টতা একেকভাবে খুঁজে পাচ্ছি নানা দেশের নগর জনপদে।
এলিজা ১৯৯৯ সালে প্রথম দেশের বাইরে যান। কিন্ত প্রকৃত অর্থে তার দেশ ভ্রমণ শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে। এরপর অব্যাহত দেশ দেখা। এরই মধ্যে ৪৬টি দেশ দেখে ফেলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদেশ ভ্রমণের সময় পতাকাকে বহন করি। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধারণ করি। ধারণ করি মুক্তিযুদ্ধকে।
ইতিহাস প্রত্নতত্ত্বের ওপর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে উল্লেখ করে এলিজা বলেন, ইতালি, চেক প্রজাতন্ত্র ও লিথুনিয়ার বিভিন্ন শহর আমাকে আকৃষ্ট করেছে। চীন, জাপানও অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছে। আর নেদারল্যান্ডের কৃষ্টিতো আমার নখদর্পণে। এমন কোনো স্থান নেই যেখানে আমি যাইনি নেদারল্যান্ডের।
এলিজা বলেন, ২০১৬ সালের জুন থেকে বাংলাদেশের আনাচে কানাচেও ঘুরছি। বিদেশের পাশাপাশি আমার দেশটাকেও জানতে চাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুর আসা। সৈয়দপুর শহরে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আমি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, বিমানবন্দর, এখানকার নর্থ সেটেলমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে চাই। আসতে চাই বারবার এ শহরে।
বিশ্ব পর্যটক এলিজার পৈত্রিক বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি ভবিষ্যতে দেশের যুব সমাজের আর্থসামাজিক বিকাশে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
এসআরএস