এবার অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মেই শীত নেমেছে রাজশাহীতে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মিলেছে শীতের আমেজ।
আকাশে ঘন মেঘের কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘলা আবহাওয়ায় শীতের দাপট বাড়ায় কাঁপছে পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষগুলো এরই মধ্যে শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন।
শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মহানগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এজন্য সকাল থেকে মহানগরীর গণকপাড়া গাউনপট্টি ও স্টেশন এলাকায় পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে বেচা-কেনা জমে উঠেছে আজ। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী সবাই গরম কাপড় কিনছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বাংলানিউজকে বলেন, তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’র প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। যেকোনো সময় বৃষ্টিও নামতে পারে।
রাজশাহী মহানগরীতে সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষের শুরুতে এ তাপমাত্রা স্বাভাবিক। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর কিছুটা তাপমাত্রা কম ছিল। ওই দিন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর নিচে আর তাপমাত্রা নামেনি। এর মধ্যে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর ছিল ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ ডিসেম্বর ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৪ ডিসেম্বর ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার শীত বেশি অনুভূত হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আকাশে মেঘ রয়েছে তাই মনে হচ্ছে শীত পড়ছে। অনেকেই মনে করছেন তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত কারণ হচ্ছে মেঘলা আকাশ। বরং এ মেঘ কেটে গেলেই রাজশাহীতে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। তখন এর চেয়েও বেশি শীত অনুভূত হবে রাজশাহীতে।
জানতে চাইলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিসের এ কর্মকর্তা বলেন, মেঘ কাটলে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দুইটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন তাপমাত্রাও অনেক কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/