পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা পাঁচ লাখ টাকা, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, ওয়ারলেস সেট ও খেলনা পিস্তল জব্ধ করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার চাকলমা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ছিনতাইকারীরা হলেন- মাইক্রোবাসচালক সুরুজ (৩৫), ভুয়া ডিবি পুলিশ ফরহাদ উদ্দিন (৩৫), সুমন (৩০), সাহাব উদ্দিন (৪৫) ও ইকবাল হোসেন (৪০)।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আটকরা আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাদের পাঁচজনের বাড়ি পাঁচ জেলায়। সঠিক তথ্য জানতে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীর ছিনতাই করা পাঁচ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে উপজেলার দমদমা গ্রামের ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাবু ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে সেই টাকা নিয়ে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বাড়ি ফিরছিলেন।
উপজেলার নামুইট নামক স্থানে পৌঁছালে তাকে বহনকারী অটোরিকশা পথরোধ করে ডিবি পুলিশের সেই মাইক্রেবাস। পাশাপাশি ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারীরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেন।
পরে অটোরিকশাচালক ঘটনাটি বাবুর পরিবারকে জানালে তারা নন্দীগ্রাম থানা ও বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের কাছে তার খোঁজখবর করতে থাকেন।
পাশাপাশি গ্রামের লোকজন সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন সড়কে মাইক্রোবাসটি খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে গ্রামবাসী উপজেলার চাকলমা বাজার এলাকায় মাইক্রোবাসটি দেখে ঘেরাও করে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/