রাজিব একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মারিফুল ইসলামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে নিখোঁজের দু’দিন পর বুধবার (০৯ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার গোদাগাড়ীর সরমংলা এলাকা থেকে জসিম উদ্দিন জয় (২৪) নামের এক অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জয় রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার বড়বনগ্রাম মাস্টারপাড়া মহল্লার আরফান আলীর ছেলে।
মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, গত ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর নিখোঁজ হন জয়। এ ঘটনায় জয়ের মামা মঞ্জুর হোসেন মহানগরীর শাহ মখদুম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে জয়কে খুঁজতে গিয়ে পুলিশ গোদাগাড়ী এলাকার জসিম ও সুমন নামের দুইজনের সন্ধান পায়।
তারা ওইদিন জয়ের অটোরিকশাটি ভাড়া করেছিলেন। এরপর তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা স্বীকার করেন যে অটোরিকশার জন্য তার জয়কে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার রাতে গোদাগাড়ী থানার সরমংলা এলাকা থেকে ক্ষত-বিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আর জানান, এ ঘটনায় জসিম, সুমন ও রাজিবের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/