রোববার (১৩ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। সালাউদ্দিন খুলনার খালিশপুর উপজেলার আইয়ুব আলীর ছেলে।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (১২ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টায় ওই হোটেলর চতুর্থ তলার সালাউদ্দিনের রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠান। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সালাউদ্দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সালাউদ্দিনের খালাতো ভাই শেখ মো. কামাল হোসেন জানান, গুলশানের হোটেল সেন্টার পয়েন্টে রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন সালাউদ্দিন। এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তার প্রেম হয়। পরে দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, আজই তার মৃত্যুর বিষয়টা জানেছি। পুলিশের কাছ থেকে আরও শুনেছি গত দুই মাস আগে থেকেই ওই নারীর সঙ্গে সালাউদ্দিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটির একটি বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন হানিফ। পরে তার স্ত্রী রিনা আক্তার হানিফকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হানিফের টেইলার্সের কর্মচারী মো. আলাল জানান, কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটিতে হানিফের নিজস্ব টেইলার্সের দোকান রয়েছে। তার বাসা ঝাউলাহাটি চৌরাস্তার দুই নম্বর গলিতে। সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, হানিফের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/