রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা-১ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি সানা সামিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল আবারো শুরু হয়।
>>>শ্রমিকরা রাস্তায়, থেমে থেমে সংঘর্ষে আহত ১০
শ্রমিকেরা বাংলানিউজকে জানায়, বেতন বৈষম্যের আন্দোলনের জন্য কয়েকদিন ধরে কারখানা ঠিকমতো না চলার কারণে আমাদের বেতন বোনাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এজন্য আমরা আবারো রাস্তায় নেমেছি। তবে পুলিশ আমাদের কথা না শুনে অর্তকিত হামলা করে। আমাদের দাবি তো বেশি না, এগুলো মেনে নিলেই তো আমরা আবার শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিতে পারি।
এরআগে, সকালে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে বের হয়ে আসে ও কিছু শ্রমিকেরা কারখানায় ঢুকে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জিরাবো, ইউনিক, জামগড়া, বেরন ও নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত শিল্প কারখানা সমূহে শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করে ও সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এসময় বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকেরা। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে জলকামান, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করতে গেলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ শ্রমিক আহত হন।
এদিকে, আতঙ্কিত হয়ে ভাঙচুর এড়াতে সাভার ও আশুলিয়ায় অর্ধশতাধিকেরও বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এনটি