সোমবার (১৪ জানুয়ারি) শহরের উকিল পাড়ায় নিজের বাড়ির দেয়াল ভেঙে খাল সংরক্ষণ ও খালেপাড়ে বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
নিজের বাড়ির দেয়াল ভেঙে নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের করার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি সর্বমহলের বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
জানা যায়, ভোলা পৌর এলাকার প্রচীনতম ভোলা খালটি শহরের প্রাণ ছিলো। এই খাল দিয়েই এক সময় চলাচল করতো লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযান। এ খাল হয়েই ঢাকা, বলিশালসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যেতো।
ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যসামগ্রী আনা নেওয়া করতো এই খাল দিয়েই। এই খালের দুই মাথা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর সাথে মিশে যাওয়া এলাকার কৃষকের পানি নিষ্কাশনের অন্যত মাধ্যম ছিলো। কিন্তু খালটি বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না করায় ও ময়লা আর্বজনা ফেলায় মৃত খালে পরিণত হয়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিরুপ প্রভাব পড়ে।
অবশেষে ভোলা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানের উদ্দ্যোগে খাল খনন কাজ শুরু হয় এবং খালের দুই পাড়ে দৃষ্টি নন্দন ওয়ার্কওয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়। পৌর মেয়র নিজেই তার বাড়ির স্থাপনা ভেঙে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ৩১.৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত ভোলা পৌরসভা। এটি এখন একটি পর্যটন নগরীতে পরিণত হতে চলেছে।
ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে জানান, ভোলা খালের পাড় হাতির ঝিলের মতো ওয়ার্কওয়ে, ওয়াশ রুম, শিশুদের খেলার রাইডসহ দৃষ্টি নন্দন করা হবে।
এসময় তিনি এই খালকে রক্ষার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা পৌর এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু হয়। বালিয়াকান্দি এলাকায় ১.৪ কিলেমিটার, চরজংগলা এলাকায় ২.৪ কিলোমিটার ও আলীনগর সংলগ্ন এলাকায় ৩.২ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। বর্তমানে চর জংলা ও বালিয়া কান্দি খাল পাড়ে ওর্য়াক ওয়ে নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়াও ভোলা হাসপাতালের পেছন থেকে শুরু করে ভোলা খাল হয়ে ৪.৭৩ কিলোমিটার পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। মোট ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খাল খননে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এনটি