সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, তিনি জেলার তানোর উপজেলা সদরের অধিবাসী।
কাজ করে না দেওয়ায় সোমবার দুপুরে দালাল ছানার কাছে টাকা চাইলে ছানাসহ কয়েকজন সহযোগী তাকে ও তার ছোট ভাই লিমনকে মারধর করেন। এ সময় ২০০ টাকা রেখে ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তাদের আরও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দালাল ছানাকে আটক করেন।
এ সময় পাসপোর্ট অফিসের দালাল ছানার কয়েকজন সহযোগী এসে চন্দ্রিমা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিমের কাছে থেকে জোর করে ছানাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভোগী দুজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
তবে দালাল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী দুইজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের অভিযোগ শোনা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা দালাল ছানার বিরুদ্ধে মামলা দিলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে দালালির সময় ছানাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসএস/এমজেএফ