ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক মানিক সাহার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
সাংবাদিক মানিক সাহার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

খুলনা: মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি)। 

চরমপন্থীদের বোমা হামলায় ২০০৪ সালের এদিনে নিহত হন তিনি। ২০১৬ সালে এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন খুলনার দ্রুত বিচারিক আদালত।

এদিকে, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মানিক সাহার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা প্রেসক্লাবও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  

এছাড়া মানিক সাহার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করবে।

২০০৪ সালের ১৪ জানুয়ারি খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মহানগর ও জেলা কমিটির সম্মেলন থেকে মানিক সাহা প্রেসক্লাবে যান একজনের সঙ্গে দেখা করতে। কথা শেষ করে তিনি রিকশায় করে আহসান আহমেদ রোডের বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রেসক্লাবের পাশে চরমপন্থীদের বোমা হামলায় নিহত হন।

রায় ঘোষণাকালে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার তার পর্যবেক্ষণে বলেন, তদন্তে দুর্বলতার পাশাপাশি যথাযথ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। সাক্ষ্য যথাযথ না পাওয়ায় অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া গেল না।

এতে ১১ আসামির মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় এসব আসামিদের সাজা হলেও বিস্ফোরক মামলায় কোনও আসামিকে সাজা দেওয়া যায়নি। হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয় অতি দ্রুততার সঙ্গে ২০০৪ সালের ২০ জুন।

এসময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক কাজী আতাউর রহমান এবং খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন। আসামি ছিল ১৩ জন।

একই আসামিদের অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় বেশ পরে ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান।

পরে হত্যা মামলাটির অধিকতর তদন্ত হয়। এই অধিকতর তদন্তে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা পড়ে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল। তিনি আরও একজন আসামি যোগ করেন। মোট আসামি হয় ১৪ জন। বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আসামিদের মধ্যে তিনজন কথিত ক্রসফায়ারে মারা যান। ১১ আসামি নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

খুলনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মানিক সাহা মৃত্যুর আগে বিবিসি, দৈনিক সংবাদ, একুশে টেলিভিশন এবং নিউএজ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।