দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে করা গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
সংস্থাটি দাবি করেছে, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভোটে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সবার জন্য সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি। নিশ্চিত করতে পারেনি সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও।
‘একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তার নিকটাত্মীয় প্রার্থী হলেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেননি তিনি। এছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিলো না,’ বলেন তিনি।
তাই এসব অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে টিআইবি।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি দাবি করে, নির্বাচনে ৪৭টি আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর জাল ভোট পড়েছে ৪১টি আসনে। ৩৩টি আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। এসব আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। আর ৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে। আর নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে ৯৪ শতাংশ আসনে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
ইইউডি/এমএ