তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাবিকদের জাহাজে চাকরিকালে যেকোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও নাবিকদের সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর সবসময় আন্তরিক।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় নৌপরিবহন অধিদফতরের সভাকক্ষে চীনের উত্তর পূর্ব সাগরে জাহাজ ডুবিতে নিহত নাবিকদের পরিবারের মাঝে চেক বিতরণকালে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
জাহাজ ডুবিতে নিহত নাবিকদের পরিবারের মানবিক বিষয়গুলো সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে বলে জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি নিহত নাবিকদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
২০১৮ সালে ৬ জানুয়ারি চীনের উত্তর পূর্ব সাগরে চীনের মালবাহী জাহাজ এম ভি ক্রিস্টালের সঙ্গে ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজ এম টি সানচির সংর্ঘষে এম টি সানচি জাহাজে আগুন ধরে যায়। এর ফলে জাহাজটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়। এ ঘটনায় ওই জাহাজে থাকা ৩০ জন ইরানীয় নাবিক এবং ২ জন বাংলাদেশি নাবিক মারা যান।
বাংলাদেশি ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স এস কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত বাংলাদেশি নাবিক সজীব আলী মৃধা এবং মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এম টি সানচি জাহাজে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। মেরিটাইম লেবার কনভেনশন ২০০৬ মোতাবেক কোনো নাবিক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়। সেই মোতাবেক ওই দুই নাবিকের পরিবারের ক্ষতিপূরণের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ম্যানিং এজেন্ট ও উক্ত কোম্পানি কর্তৃক নিয়োজিত প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব কর্তৃক মৃত নাবিক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের পরিবারের কাছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৩ টাকা এবং সজীব আলী মৃধার পরিবারের সদস্যদের কাছে ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ