মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান তোশিমিতসু মতেগি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান জাপানের মন্ত্রী। তিনি আশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
তোশিমিতসু মতেগিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের পুরনো বন্ধু। বহু মেগা প্রজেক্টে জাপান আমাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অবদানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা দিয়ে সারাদেশের ব্যাপক উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে জাপানের কাছে প্রশিক্ষণ সহযোগিতার পাশাপাশি গভীর সমুদ্র সম্পদ আহরণে কারিগরি সহযোগিতাও চান প্রধানমন্ত্রী।
তার আহবানে সাড়া দিয়ে জাপানের মন্ত্রী বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে স্বদেশের আগ্রহের কথা জানান।
সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
এসময় জাপানের মন্ত্রী ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/