ডিএসসিসির পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, অভিযানে একটি হোটেল সিলগালা করে দেওয়া এবং ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ডিএসসিসি অঞ্চল- ১ এর আওতায় গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের হোটেল সোহেললের মালিক মো. সোহেলকে ৩ দিন, অ্যারোমা স্নাকসের ম্যানেজার খালেদ মনসুরকে ৫ দিন, ডেকো রেস্টুরেন্টের আব্দুল লতিফকে ৩ দিন, মায়ের দোয়া হোটেলের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে ৩ দিন এবং রমনা হোটেল ক্যান্টিনের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে পরিচালিত অভিযানে শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন হোটেলে মোট ৮ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া রাজধানী হোটেলকে ২০ হাজার, পূর্ণিমা স্নাকসকে ৫০ হাজার, খাবার দাবার পিঠাঘরকে ১৫ হাজার, হাজী বিরিয়ানীকে ২৫ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল- ২ এর আওতায় ফকিরাপুল এলাকার আল ইমাম হোটেলের ম্যানেজার আব্দুল জলিলকে ৩ দিনের জেল, অভিযান চলাকালে হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ার কারণে মিতালী রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করে দেওয়া এবং এশিয়া গার্ডেন রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল ৩ এর আওতাধীন এলাকার পেনাং রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা, পেনং থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্তোরাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৪ এর নবাবপুর এলাকার আদি মরণচাঁদ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান এবং মো. মোকাম্মেল হক প্রিন্সকে ১৫ দিন করে জেল দেওয়া হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৫১ এবং ৫৩ অনুযায়ী এ শাস্তি দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে ডিএসসিসির ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ডিএসসিসি জানায়, সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর যাত্রাবাড়ী এলাকার নান্না রেস্তোরাঁর ম্যানেজার কবীর হোসেনকে ৫ দিনের জেল দেওয়া হয়। এছাড়া ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করায় ফল বিক্রেতা মো. ইলিয়াস, মো. চাঁন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে ৫ হাজার টাকা করে, কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রেতা মো.শফিকে ৪ হাজার টাকা এবং নিউ সুপার নান্না রেস্টুরেন্ট ও আল ইসলাম বিরিয়ানী হাউজকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসএম/এমএ