ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান নেই, উদ্ধার কাজ স্থগিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
মেঘনায় নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান নেই, উদ্ধার কাজ স্থগিত

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ সদরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে চরঝাপটা এলাকায় মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যায় মাটি বোঝাই ‘জাকির দেওয়ান’ নামের ট্রলারটি। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার কাজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

এখনো নিখোঁজ ট্রলার চিহ্নিত ও শ্রমিকদের কোনো সন্ধান পায়নি সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারীরা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, দিনের আলো থাকা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালনো হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুুয়ারি) সকাল ৭-৮টার দিকে আবারো উদ্ধার কাজ শুরু হবে। ওইদিন উদ্ধার কাজে বড় একটি ভ্যাসেল যোগ হবে এবং বাড়তি জনবল কাজ করবে।  

বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌপুলিশের স্পিডবোট ও উদ্ধারকারী জাহাজ মাঝ মেঘনায় উদ্ধার কাজ করছে। উদ্ধারকারীরা এক কিলোমিটার অংশ জুড়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এছাড়া এর বাহিরেও কয়েকটি পয়েন্টেও চলছে উদ্ধার অভিযান।

বেঁচে যাওয়া শ্রমিক শাহ আলন ও মামুন বাংলানিউজকে জানান, মাটি বোঝাই ট্রলাটি কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দিকে যাচ্ছিলো। এর অধিকাংশ শ্রমিক ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো। বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী মালবাহী জাহাজটির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় ডুবে যায় মাটিবোঝাই ট্রলারটি। ৩৪ শ্রমিকের মধ্যে ১৪ জন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারে।

>>>আরো পড়ুন...মেঘনায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে

বিকেল ৪টার দিকে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (উওর) মো. মাহবুব বাংলানিউজকে জানান, এখানে ১২০ মিটার পর্যন্ত গভীরতা। খুব কঠিন হচ্ছে ট্রলারটির অবস্থান নিশ্চিত করা। আশেপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে মরদেহের সন্ধান মিললে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকেই এখানে উদ্ধারকাজ চলছে।

বিকালে উদ্ধার কাজ পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন- নৌ-পুলিশের ঢাকা জোনের পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রাশীদ এবং ফায়ার সার্ভিস, বিআইডাব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।