বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে উদ্ধার কাজ শেষ করেছে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
>>>আরো পড়ুন...কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে ধস
নিহত বজলু মিয়া কুমারখালী উপজেলার ভাদু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শ্রমিকদের অভিযোগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের কাজ চলছিলো। দ্রুত কাজ করার জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রমিকদের যে অভিযোগ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জহুরুল কনস্ট্রাকশনের আওতায় এ কাজ চলছিলো।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আশরাফুল হক দারা বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করছিল। হয়তো সাটারিং এ কোনো দুর্বলতার জন্য এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত শ্রমিক ইশা খাঁ বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করেই বিকট শব্দ করে নির্মাণাধীন সাটারিংটি ধসে পড়ে। তখন নিচে দুইজন কাজ করছিল। সম্ভাব্য নিচে থাকা দুইজনই নিচে চাপা পড়েছিল। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের গ্রুপ লিডার মোস্তফা আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, আজকের মতো উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। ভেতরে আটকা পড়া নির্মাণ শ্রমিক বজলু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এনটি