বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উদ্ধারকাজ চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে চর ঝাপটায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় জাকির দেওয়ান নামের মাটিবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়।
উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিআইডাব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা ঘটনাস্থল সঠিকভাবে দেখাতে পারছেন না। যেখানে দেখানো হচ্ছে, সেখানে সন্ধান চালিয়ে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ নৌবাহিনীর সাইট স্ক্যানার ‘সোনার’ ও হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের মাধ্যমে পানির নিচে অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তাদের একটি দক্ষ ডুবুরি দল বিকেলে এসে পৌঁছেছে। তাদের নিয়ে দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তরে মেঘনা নদীর কয়েকটি পয়েন্টে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
মুন্সিগঞ্জ ডুবুরি ইউনিটের উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তফা মহসিন বাংলানিউজকে জানান, ‘বিআইডাব্লিউটিএ’র সোনার বীম একটি স্থানে পানির নিচে বাল্কহেডের একটি অংশ দেখতে পায়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোন এলাকায় এটি অবস্থান করছে, তা শনাক্ত করতে পারেনি। আগামীকাল সকাল থেকে আবারো উদ্ধারকাজ চলবে।
বাংলাদেশ সময় : ২১৪২, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএমইউ/