ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ইনসাব’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ইনসাব’র ইমরাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের র‌্যালি/ছবি: শাকিল

ঢাকা: শ্রমআইনে এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভূক্তিকরণসহ কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ইমরাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)। একইসঙ্গে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বোর্ডসভা প্রতিমাসে, পেনশন স্কিম, রেশনিং ব্যবস্থা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইনসাবের উদ্যোগে নির্মাণ শ্রমিকদের দাবি দিবসে এ দাবি জানানো হয়। ইনসাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ ও র‌্যালি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ ইনসাবের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন থানার নেতারা।

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে নির্মাণ শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইমারত নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। এই শিল্পের শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেখভাল করার কথা থাকলেও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। মালিকদের অতি মুনাফা লোভের কারণে নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যবহার না করে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর ফতে প্রতিনিয়ত নির্মাণ শ্রমিকরা আহত ও নিহত হচ্ছেন।  

এজন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে নির্মাণ শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবী জানান তিনি।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্মাণ কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সারা দেশে এই শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক রয়েছে। বিদেশেও নির্মাণ শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ নির্মাণ শ্রমিক বিদেশে গিয়ে লাখ লাখ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে। অথচ শ্রম আইনের আওতায় এই নির্মাণ শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত এখনও হয়নি।

সমাবেশে নির্মাণ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত, পেনশন স্কিম চালু, দুর্ঘটনায় নিহত, আহত বা আজীবন পঙ্গুত্ব বরণকারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব, শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারিসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।