মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক স্টল নিয়ে বসেছে দোকানিরা। মেলাতে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, সাপ খেলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা।
জানা যায়, বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই বায়োস্কোপ। এক সময় গ্রাম-বাংলার এমনকি শহরের শিশু-কিশোরদের বিনোদনের মাধ্যম ছিল বায়স্কোপ। তখন রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের এতো প্রসার ছিল না। তাই গ্রামের হাঁট-বাজার বা মেলায় বায়োস্কোপ দেখা যেত। আবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরেও এই বায়োস্কোপ দেখানো হতো কিছু পয়সা কিংবা চাল, ডাল, ফল, শস্য বা শাকসবজির বিনিময়ে। কিন্তু এখন এই বায়োস্কোপ বিলুপ্ত প্রায়।
মেলায় বাবার সঙ্গে ঘুরতে আসা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রনি বাংলানিউজকে জানায়, এমন জিনিস আমি আগে কখনো দেখিনি। বায়োস্কোপের মধ্যে অনেক কিছু দেখেছি।
৩৫ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় বায়োস্কোপ দেখান ঝিনাইদহ জেলার শৌলকুপা উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামের মো. ওলিয়ার বিশ্বাস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেখানেই মেলা হয় সেখানেই বায়োস্কোপের বাক্সটি নিয়ে চলে যাই। এ মেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নড়াইলে ছুটে এসেছি শিশুদের বিনোদন দিতে। আগে চার আনা আট আনা দিলেই দর্শকদের বাইস্কোপ দেখাতাম। বর্তমানে একজনকে এটি দেখাতে ১০ টাকা করে নিই। এ দিয়ে যা আয় হয় তাই দিয়েই চার ছেলে মেয়েসহ ৬ সদস্যের সংসার চালাই।
আধুনিক সভ্যতার যুগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন এই বিনোদন টিকে থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক কর্মী নড়াইল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম টুলুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এনটি