ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে  আলোচনা সভায় বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাচন সম্পর্কে যাই বলা হোক না কেন, নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনও দেশের ভালো চায় না। তাই আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। তার আগে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। তা না হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান বাস্তবতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।  

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বি এস এম এম ইউ এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলা একাডেমির সাবেক ডিজি শামসুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আশরাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই। কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট কখনও তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রশংসিত করেছেন আবার গালিও দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে ড. কামাল এবারের নির্বাচনকে ভোট বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন। বিজয় সম্পর্কে তারা সুনিশ্চিত ছিলেন। অথচ ভোটের দিন তারা নানা অজুহাত দেওয়া শুরু করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েনি। তাহলে কীভাবে বলা যায় নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। তাই বলা যায়, এবারের নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।  

অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, এবারের নির্বাচনে কমিশনের কাছে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পড়েনি। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ নির্বাচনকে মেনে নিতে পারেনি। তারা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এসেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই দেশের মানুষ তাদের আর এই দেশের মাটিতে দেখতে চায় না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ তার প্রমাণ দিয়েছেন। এই দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অনেক দেখেছে। এখন আগামীতে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতি দমন করতে হবে। তবে দুর্নীতিবাজ দিয়ে দুর্নীতি কমানো সম্ভব না। এজন্য নিজেদের মধ্যে শুদ্ধির অভিযান পরিচালনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. এস এ মালেক বলেন, পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেনি। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। এজন্য সরকার ও বিরোধী দলের কিছু দায়িত্বহীন লোকেরাই দায়ী। নির্বাচনে অংশগ্রহণ বলতে যা বোঝায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সবকিছুই করেছে। এবং পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় ও ঘোষণা দেয় রায় মানে না, পুনঃনির্বাচন দিতে হবে।  

তিনি বলেন, এবার শেখ হাসিনা সরকার বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেকেই বিবৃতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি ভালো করেই জানেন গনতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি সেভাবেই বিরোধী দলকে দেখতে চান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুযারি ১৮, ২০১৯
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।