শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনার বিচার চেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কলেজছাত্রী।
জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি গ্রামের শাহজালালের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল ফারুক হোসেন (২০) দীর্ঘ তিন/চার বছর ধরে একই গ্রামের (১৯) এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন।
এদিকে পাঁচ দিনের ছুটিতে বাড়ি এসে বিয়ের জন্য প্রেমিকাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন ফারুক। প্রেমিকের কথামত বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন ওই তরুণী।
অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন ফারুককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়ে ওই তরুণীকে মারধর করেন। এতে তরুণীটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে বাড়ির পাশে ফেলে রাখেন। স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে রাতেই উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে ভর্তি তরুণীটির দাবি, তাদের দীর্ঘ দিনের প্রেমের পরিণতির জন্য ফারুকের ডাকে তার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন তিনি। ফারুক বিয়ের বিষয়ে পরিবারকে বলা মাত্র তাকে (ফারুক) বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মারধর শুরু করেন ফারুকের মা ও বাড়ির লোকজন। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন না। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে নিজে বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফারুক কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন বলেও প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
আরএ