এসময় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন। এরা হলেন- কামাল (৪০), আওয়াল (৩৮), রাসেল (২৮), শাহীন (৩০), বাবু (৩০), আব্দুস সালাম (৫৫), রইচ উদ্দিন (৭০), আসাদ (৪৮), ভুট্টু (৪৪), সাঈদ (৫০), আবুল হোসেন (৭০), আলমাস (৩০)।
তাদের উদ্ধার করে সিংড়া, নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার সময় উপজেলার মাধা বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আলমঙ্গীর হোসেন ওই গ্রামের মাহমুদ আলী প্রামাণিকের ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ফসলি জমির মালিকানা নিয়ে মাধা বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কামাল মেম্বর ও কালাম প্রফেসরের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। দুপুরে কালাম প্রফেসরের লোকজন বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে কামাল মেম্বর ও তার লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর গুরুতর জখম হন এবং সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আলমগীরকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নাটোর সদর হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( রামেক) ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে। এদিকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
আরএ