শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখ্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামাসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের নেতা ফিরোজ আহমেদ এবং ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
বক্তারা বলেন, জানুয়ারি মাসে বেতন পাবার পর থেকেই সকল গ্রেডে সমান হারে মজুরি বৃদ্ধি ও সমন্বয়ের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো পোশাক শ্রমিকরা। গাজীপুর, উত্তরা, মিরপুর, হেমায়েতপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে শ্রমিকরা মাঠে নামে। ওই আন্দোলনেই পুলিশ পোশাক শ্রমিক সুমন মিয়ার বুকে গুলি চালায়।
অবিলম্বে সুমন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান গার্মেন্ট শ্রমিক নেতারা।
তারা বলেন, মজুরি সমন্বয়হীনতা সরকার ও মালিকের গাফিলতির কারণে হয়েছে, যা তারা স্বীকারও করেছে। অথচ তার দায় শ্রমিকদের ওপর চাপানো হচ্ছে। মালিক ও সরকার পক্ষের দায়িত্বশীলতার অভাবের কারণেই শ্রমিকরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, মজুরি যেভাবে সমন্বয় করা হয়েছে তাতে ১৫ টাকা, ২০ টাকা, ১০৫ টাকা এইভাবে যে বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতে শ্রমিকদের প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি সমন্বয় করা হয়নি।
নেতারা বলেন, একদিকে মজুরি সমন্বয়ের নামে প্রহসন অন্যদিকে শ্রমিকরা কাজে ফেরত যাবার পর পরই প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিকের বিরূদ্ধে নামে বেনামে মামলা করা হয়েছে। শুধু মামলা নয়, প্রায় ২০ জন শ্রমিক নেতা ও সাধারণ শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা এবং গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, নামে বেনামে মামলা করে শ্রমিকাঞ্চলে ভীতি তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকরা নিজ অঞ্চলে থাকতে ভয় পাচ্ছে।
অবিলম্বে শ্রমিকদের বিরূদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতারা। একইসাথে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমজেএফ