শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহবুব হোসেন বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, মামলায় বহিরাগত চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- নগরীর মতিহার থানায় কাজলা এলাকার বাসিন্দা আসাদুল দুখু (৪০), বোয়ালিয়া থানায় মোন্নাফের মোড়ের আলমগীর, একই থানায় সাধুর মোড় এলাকার আজাদ ও মতিহার থানা বিনোদপুর এলাকার ফারুক। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মারধরের শিকার আবির রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি মহানগরীর বালিয়াপুকুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর রুয়েটের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তা ইয়াসিন আলীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আসাদুল দুখু গালিগালাজের পাশাপাশি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় পরের দিন বুধবার মতিহার থানায় তানভীর বাদী হয়ে অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে আসাদুল দুখুর নেতৃত্বে রুয়েটের অফিস কক্ষে গালিগালাজ ও অভিযোগ উঠিয়ে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় আবির অফিস কক্ষে উপস্থিত হলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন আবির। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহানগরীর মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব জানান, রুয়েট শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ৮/১০জনের নামে মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এসএস/এমএ