মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্যালারির শেড নির্মাণ, গ্যালারির শেড নির্মাণের জন্য আরসিসি ভাঙা এবং ময়লা অপসারণ কাজ, গ্যালারির চেয়ার স্থাপন, রাস্তার কার্পেটিং ও আন্তর্জাতিক মানের দু’টি ড্রেসিং রুম নির্মাণ করা হবে। ফ্লাডলাইট, সিসিটিভি ক্যামেরা, সিসিটিভি এইচডি ক্যামেরা, এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বোর্ড, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, নিরাপত্তা বাতি, স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য দু’টি ড্রেসিং রুম, টিকিট কাউন্টার, চিকিৎসার জন্য কক্ষ এবং ডোপ টেস্টের জন্যও কক্ষ তৈরি করা হবে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আসন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই জরাজীর্ণ। অনেক আসন ভেঙে গেছে। ২৫ হাজার জন যাতে বসে খেলা দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো। মাঠের কাজও করতে হবে। এক কথায় প্রকল্পের আওতায় নতুনরূপে সাজবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। মাঠের প্রয়োজনীয় সাইটগুলোও পুনর্বাসন করা হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া স্থাপনা। ১৯৫৪ সালে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। বিশ্বনন্দিত ফুটবলার লিওনেল মেসি স্টেডিয়ামটিতে খেলে গিয়েছেন। ২০০৬ সালে এই স্টেডিয়ামটি বুয়েটের প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মোতবেক ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন করা হয়। বর্তমানে স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই জরাজীর্ণ। তাই ‘ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৩৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে ঢেলে সাজানো হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
প্রকল্পের আওতায় মাঠে স্থাপন করা হবে ভোকাল মাইক্রোফোন, ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন, শব্দ মিক্সিং যন্ত্র, এম্লিফায়ার ৭৫০ ওয়াট, সিলিং স্পিকার ১২ ওয়াট, কলাম স্পিকার ২০ ওয়াট, ৩০টি ডেলিগেট ইউনিট, জাংশন বক্স ও মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড।
ফুটবল, অ্যাথলেটিক ও আর্চারিসহ অন্য খেলার উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা দিতেই প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সিসিটিভি, এইচডি আইপি বেজড ক্যামেরা, ১৬ চ্যানেলবিশিষ্ট ডিভিআর, চার টেরাবাইট বিশিষ্ট হার্ডডিক্স ড্রাইভ, ১৬ চ্যানেল বিশিষ্ট ক্যামেরা, শক্তিশালী ওয়াইফাই জোন ও এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিনের উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ২৫ হাজার দর্শক খেলা ও ইভেন্ট উপভোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমআইএস/আরআর