খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ বিষয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) কেএমপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
কেএমপির গাড়ি নিয়ে মাইকিং করা অবস্থায় শহরের সাত রাস্তার মোড়ে দুপুরে কথা হয় খুলনা সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালামের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) এক সভার মাধ্যমে যেকোনো অনুষ্ঠানে ক্ষার জাতীয় বা বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন, বিক্রয় এবং ফোটানো নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি জানান, কোনো ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক অথবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আতশবাজি, পটকাবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফুটপাতে কোনো দোকান না বসা, স্কুল-কলেজের সামনে বিড়ি/সিগারেট বেচাকেনা করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়েছে। শহরবাসীকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
কেএমপির এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে শহরসহ আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড আওয়াজে পটকা ফুটানোর কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল জনজীবন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সময়-অসময়ের এসব পটকার বিকট শব্দে অসহনীয় সময় পার করছিলেন।
এ প্রসঙ্গে শহরের মোসলমান পাড়া এলাকার বাসিন্দা জানে আলম শামস বলেন, বিভিন্ন স্থানে দিনে ও রাতের বেলায় পটকা ও আতশবাজি ফুটিয়ে শহরের বাসাবাড়িতে প্রচণ্ড রকমের ভীতিসঞ্চার ও আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। পটকা, বোমার অস্বাভাবিক শব্দে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। কেএমপির এমন সময় উপযোগী সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
কেএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজেই আতবাজি ও পটকার বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছি। সবক’টি ক্লাব ও কমিনিউটি সেন্টারকে যেকোনো অনুষ্ঠানে আতশবাজি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছি। এরপরও যদি কোথাও পটকা বা আতশবাজির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/