ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাঘায় বালুদস্যুদের হামলায় এসিল্যান্ডসহ আহত ৩ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
বাঘায় বালুদস্যুদের হামলায় এসিল্যান্ডসহ আহত ৩ 

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর বালুঘাট পরিদর্শনে গিয়ে অবৈধ বালুদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েস৷ আরও আহত হয়েছেন তার নিরাপত্তা প্রহরী পলিন ও গাড়িচালক রাজু। 

এদের মধ্যে এসিল্যান্ড ইমরুল কায়েস ও গাড়িচালক রাজুকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত এসিল্যান্ডের নিরাপত্তা কর্মী পলিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর পদ্মানদীর বালু মহালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই বালুদস্যুরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।  

স্থানীয় প্রশাসনেও এ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস. এম আবদুল কাদের, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন রেজা ও বাঘা থানার ওসি মহসিন আলী ঘটনাস্থলে গেছেন।  

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর হরিরামপুর এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করছিলো স্থানীয় প্রভাবশালী নওসাদ আলী ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড) ইমরুল কায়েস পদ্মা নদীর হরিরামপুর এলাকায় পরিদর্শনে যান।

এসময় বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে বালু তোলার কারণ জানতে চান। পরে বালুদস্যুখ্যাত নওসাদ এসিল্যান্ডকে জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী  অফিসারের অনুমতি রয়েছে। এ সময় এসিল্যান্ড ইউএনওকে ফোন দিতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বালুদস্যু নওসাদ ও তার সহযোগীরা।  

পরে নওসাদের নেতৃত্বে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ১৫/২০ জনের একটি দল লাঠিসোঠা নিয়ে এসিল্যান্ডের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষায় নিরাপত্তা কর্মী পলিন এগিয়ে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়। একইভাবে গাড়ির চালক রাজুকেও পিটিয়ে আহত করে বালুদস্যুরা।  

পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে এসিল্যান্ড, তার নিরাপত্তা কর্মী ও গাড়ির চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।  

সেখানে নিরাপত্তা কর্মী পলিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে।

এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।   

রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি। এসিল্যান্ড ও আরও তিনজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই অপরাধীরা পার পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।