শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সটি খোলা হয়।
দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজির হোসেন, মো. শরীফুল আলম ও সাগুফতা হকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ছয়দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, এই মসজিদের যখন দানবাক্স খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবারও ১ কোটি টাকার উপরে পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদীপশু ছাগল, হাস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসআরএস