রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাষ্ট্রপতি ছাড়া কোনো গাড়ির টোল নেওয়া বাদ যায় না।
কাদের বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আগে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দিনে টোল আদায় হতো ৭৫ লাখ টাকা। ডিজিটাল করায় টোল আদায়ের পরিমাণ এখন ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। দাউদকান্দি সেতুতে আগে টোল আসতো ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা। এখন তা কোনো কোনো দিন এক কোটি টাকার বেশি হয়। মুন্সীগঞ্জ সেতুতে আগে টোল আসতো ২ লাখ টাকা। এখন সেখানে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় হচ্ছে।
টোল আদায়ের পরিমাণের যে তথ্য জানানো হচ্ছে, তা যাচাই করতে চাইলে যে কেউ আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
পদ্মাসেতু বিষয়ে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ, মূল সেতু ৭৩ শতাংশ এবং নদীশাসন ৫০ শতাংশ হয়েছে। মোট ২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টির কাজ শেষ। আরও ১৫টির জাজ আংশিক শেষ হয়েছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৬টির কাজ শেষ, ১৫টির কাজ চলমান। ৪১টি স্প্যানের মধ্য ৬টি বসেছে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ হবে। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এ টানেলের ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এর খনন কাজ শুরু হবে। আগামী ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের তিন ধাপের প্রথম ধাপের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি তিনধাপে সম্পন্ন হবে। এটি শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে কুতুবখালি পর্যন্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
ইএআর/জেডএস