শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের গেড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রোববার (২০ জানুয়ারি) ভোরে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
জানা যায়, শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে সাদা পোশাকে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল কদ্দুছের নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক গেড়ামারা গ্রামের আলমাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। বাড়ির মালিক দরজা না খুলে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হলে তিনি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ঘেরাও করে আটক করেন। এসময় সেখান থেকে দুই যুবক পালিয়ে গেলেও এসআই সোহেলসহ পাঁচজনকে আটক করে গ্রামবাসী।
বাড়ির মালিক আলমাছ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গভীর রাতে দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পর আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি। পুলিশ পরিচয় দিলেও তাদের দেখে পুলিশ মনে না হওয়ায় তিনিসহ পরিবারের লোকজন চিৎকার করতে থাকেন। পরে গ্রামবাসী এসে তাদের ধরে ফেলেন।
এসআই সোহেল ছাড়া অন্য আটকরা হলেন- রংপুর জেলার শহিদুর রহমান ও সাইদুল ইসলাম, বহুরিয়া ইউনিয়নের কোর্টবহুরিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এসআই সোহেল কদ্দুছের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে। আটক অন্যদের বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
জিপি