রোববার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১৮ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাঁচজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নাজমুল হুসাইন, মোস্তফা মো. তাহান, তারেক আল হাসান, ইশরাতুল জাহান শোভা এবং ইসতিয়াক আহমেদ।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আতাউস সামাদ, এবিএম মূসা এবং আবদুল গাফফার চৌধুরী এই তিনজন সমান্তরাল ও ভিন্ন উচ্চতার মানুষ। সংবাদপত্রে কলাম লেখনীর মাধ্যমে সমাজে তাদের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। আবদুল গাফফার চৌধুরী যে শুধু ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই অমর গানটি লিখেছেন তা নয় বরং অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতি গঠনে তার লেখনীতে রয়েছে এক অসাধারণ শক্ত ভূমিকা। ’৭৫ পরবর্তী তার রাজনৈতিক কলাম লেখনীও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘সংবাদপত্রে কলাম: তাৎপর্য ও শৈলী’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এতে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় আবদুল গাফফার চৌধুরীকে। তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাংবাদিক আলী হাবিব।
অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও আবদুল গাফফার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন যথাক্রমে বিভাগীয় প্রভাষক মার্জিয়া রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। এতে আবদুল গাফফার চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী কবি আসাদ চৌধুরী এবং ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা মরহুম সাংবাদিক এবিএম মূসার দুই মেয়ে, বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এসকেবি/আরবি/