ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাঘায় এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
বাঘায় এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৭

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েসের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর‌্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর পদ্মানদীর বালু মহালে পরিদর্শনে গেলে এসিল্যান্ড ইমরুল কায়েস তার নিরাপত্তা প্রহরী পলিন ও গাড়িচালক রাজু বালুদস্যুদের হামলার শিকার হন।

এ ঘটনায় রাতেই উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) পক্ষে সার্ভেয়ার শামসুল হক বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শনিবার দিনগত রাত থেকে রোববার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে আবুল বাসার (৩০), কাশেম আলীর ছেলে বেলাল (৪০), উপজেলার আলাইপুর গ্রামের শহিদুল মল্লিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২২), আজাহার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম কালু (৪৮), নইমুদ্দিন দুই ছেলে নবাব আলী (৩৭) ও কামরুজ্জামান (৩৫) ও কলিগ্রামের নেকা ভাংড়ির ছেলে সুলতান আলী (৩৫)। তবে, এখন পর্যন্ত ঘটনার মূলহোতা প্রধান আসামি নওশাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।  

এদিকে, এসিল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধন, ছবি: বাংলানিউজরোববার দুপুরে বাঘা উপজেলা প্রশাসনের সব দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সুশীল সমাজ, শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে দেড়টার দিকে বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল ওই এলাকার মোজাহারের ছেলে নওশাদ আলী ও মহসীনের ছেলে আব্দুল বারিসহ তার লোকজন। এ খবর  পেয়ে দুই কর্মচারীসহ ঘটনাস্থলে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিএম ইমরুল কায়েস। এরপর বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে বালুদস্যুরা। ঘটনার একপর্যায় বিকেলে হরিরামপুর বালু মহল পরিদর্শন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ও জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।  

রাজশাহীর বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে গ্রেফতার এড়াতে বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।