রোববার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জহিরকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে জেষ্ঠ্য বিচারক নবনিতা গুহ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কবিরহাট থানার পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে গণধর্ষণের ঘটনায় জহিরকে চার দিনের রিমান্ড চেয়ে বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়।
>> আরো পড়ুন: আবারো নোয়াখালীতে গণধর্ষণ
জহির তার জবানবন্দিতে বলেন, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ওই গৃহবধূর দেবর আব্দুর রব হোসেন ওরফে মান্না। তারা দু’জন ছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে মো. সেলিম, হারুন অর রশিদ ও জামাল উদ্দিন। এদের মধ্যে জামাল উদ্দিন বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাটি মান্না ও তার সৎ ভাই আবুল হোসেনের (ভিকটিমের স্বামী) মধ্যে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে হয়েছে বলে জানিয়ে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনার সময় জহির ছাড়া বাকি চারজন ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে বলেও জহির আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক আসামি জামালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, রোববার সকালে স্থানীয় নিমতলা সমিতির বাজারে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মানববন্ধনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এনটি