হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
এর আগে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বখাটেরা দু’ দফায় মাসুদ গাজী ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর জখম হন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- সোনাডাঙ্গা এলাকার সগির হোসেনের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২১), লবণচড়ার জি এম মাহাতাবের ছেলে আতিয়ার রহমান আতি (২২), পশ্চিম টুটপাড়ার মৃত সোবহানের ছেলে নাসির উদ্দিন (২২), মিস্ত্রি পাড়া বাজারের আবুল কালাম শেখের ছেলে কাওছার শেখ(২৪), শাহ আলমের ছেলে সোহাগ আকন (২০), খলিল শেখের ছেলে ইমামুল শেখ ইমাম(১৭) ও বাগমারার নান্না তালুকদারের ছেলে নাজমুল তালুকদার (২২)। আসামিরা খুলনা সদর থানায় রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মো. এহসান শাহ রোববার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরে নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারনামীয় আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত মাসুদ গাজী মসজিদের খাদেমের সঙ্গে রং মিস্ত্রি ও বিদ্যুতের কাজও করতেন। তিনি মহানগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহারগেট নবম গলির বাসিন্দা মুনসুর রহমান গাজীর ছেলে। রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে খুমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদেম মাসুদ গাজী শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করে মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন।
এসময় রাস্তার পাশে বসে থাকা কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা তাকে মারধর করে। তিনি আহত হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় এসে ঘটনা বলার পর ভাই ইয়াসিনগাজীকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে যান। এসময় বখাটেরা তাকে স্থানীয় স্কুল গলির মুখে নিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তার ভাই ইয়াসিন গাজী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে মাসুদ গাজী অচেতন হয়ে পড়লে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআরএম/এসআইএস