সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জুয়েল উপজেলার বিহার পশ্চিমপাড়ার ফকিরপাড়ার মৃত আয়েজ ফকিরের ছেলে।
সনাতন চক্রবর্তী জানান, জুয়েল চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ২৫ লাখ ছিনতাই মামলার আসামি। রোববার (২০ জানুয়ারি) ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার অপর আসামি ইয়াছিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানববন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারে উপজেলার বিহার পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে হাফিজারের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আগ থেকে ওৎপেতে থাকা ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ডাকাতদল ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জুয়েলকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ৩ দশমিক ৩ রাইফেলের তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শমিমেক) হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশি পাহারায় তিনি চিকিৎসাধীন।
এর আগে ১০ জানুয়ারি স্থানীয় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের সামনে থেকে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন গুলিবিদ্ধ জুয়েল। পরে স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের কনস্টেবল আছমত আলী আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে যোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/